স্ত্রীর পত্র ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) – শ্রুতিনাটক – ঋতুপর্ণ ঘোষ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ অন্তর্গত ‘স্ত্রীর
পত্র’ ছোটগল্পটির অবলম্বনে - সদ্য প্রয়াত , স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক - ঋতুপর্ণ
ঘোষের পরিচালনায় এই শ্রুতিনাটকটি রেডিও মির্চিতে সম্প্রচারিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী
উপলক্ষে । ( রেডিও রূপান্তরিত এই ছোটগল্পটিকে শ্রুতিনাটক না বলে গল্প-পাঠ বলাই
শ্রেয় । তবুও , যেহেতু শ্রোতা-উপযোগী করে তোলার জন্য এর মধ্যে কিছু কিছু নাটকীয়
উপাদান সংযোজিত হয়েছে সেহেতু . . .। ) এই গল্পটিতে রবীন্দ্রনাথ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ
ব্যবস্থায় বন্দী নারীর সমস্ত রকম জাল ছিন্ন করে বেড়িয়ে আসার ও সতন্ত্রভাবে বেঁচে
থাকার জয়গান করেছেন । Henric Ibsen এর ‘A Doll’s House’ নাটকটির কথা মনে আসে এ গল্প শুনতে
শুনতে (পড়তে পড়তে ) । এ গল্প নারীর সংগ্রামের , এ গল্প নারী-স্বাধীনতার । তাই স্বাভাবিকভাবেই
, ঋতুপর্ণ ঘোষের এ গল্প নির্বাচন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ন । এখানে স্ত্রী মৃণালের
ভূমিকায় পাঠ করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ নিজে । স্ত্রী মৃণালের চিঠির শেষ দুটি কথা – “আমিও বাঁচব । আমি বাঁচলুম ।’’- মৃণালের জীবনেই শুধু নয় ,
ঋতুপর্ণ ঘোষের জীবনেও চির-তাৎপর্যপূর্ন হয়ে রইল । Irony? না Dramatic Irony? না ‘Whom the Gods love, dies young’? জানি না । শত গুন থাকা সত্ত্বেও যে মানুষটাকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন ধেয়ে
আসত লক্ষ কটাক্ষ , সে কি তবে মরে গিয়েই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ? কিন্তু আমরা সবাই খুব
ভালভাবেই জানি , তিনি বেঁচে থাকবেন তার কাজের মাধ্যমে - চিরতরে , চিরদিনের জন্য । প্রণাম
।
0 comments:
Post a Comment